B.A 2nd Semester Political Science Suggestion CC/GE-1 2023 Burdwan University
কিছু ২ নম্বরের জন্য ইম্পরট্যান্ট প্রশ্নগুলি:
১. রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে ?
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা গৃহীত হয় নি। তথাপি অধিকতর গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায় — রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজবিজ্ঞানের সেই শাখা যা রাষ্ট্র ও রাজনীতির দার্শনিক, সাংগঠনিক প্রশাসনিক প্রসঙ্গ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন ও সাংগঠনিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ এবং একাধিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক প্রসঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও পর্যালোচনা করে তাকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলা হয়।
২. অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের তুলনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সঠিক নামকরণের সমস্যা অধিক’—উক্তিটি কার?
উত্তর :- উক্তিটি করেন ইউরোপীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জেলিনেক।
৩. লাওয়েলের মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে ?
উত্তর :- লাওয়েলের মতে “সমাজের অন্তর্ভুক্ত প্রভাব ও প্রভাবশালী ক্রিয়াকলাপের বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনাই হল রাষ্ট্রবিজ্ঞান”।
৪. অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর :- অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে, “সংগঠিত রাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে মানব জীবনের আলোচনাই রাষ্ট্রবিজ্ঞান"।
৫. মাকর্সবাদীদের মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর :- মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সেই বিষয় যা শ্রেণি দ্বন্দ্ব, শ্রেণি বৈরিতার সম্পর্কে সার্বিক আলোচনা করে এবং এগুলি সম্পর্কিত পরিচালক গোষ্ঠীর ব্যবস্থা ও সিদ্ধাত্তসমূহের ওপর আলোকপাত করে থাকে।
৬. ডেভিড ইস্টনের মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি?
উত্তর :- ডেভিড ইস্টন তাঁর Political System বইতে উল্লেখ করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সেই পাঠ যা মূল্যের কর্তৃত্বপূর্ণ বন্টন নিয়ে আলোচনা করে ।
৭. ১৯৪৮ সালে ইউনেস্কোর এক সম্মেলনে গৃহীত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়গুলি কি কি?
উত্তর :- ১৯৪৮ সালে ইউনেস্কোর এক সম্মেলনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় হিসেবে ।
গৃহীত বিষয়গুলি হল ঃ—(১) রাষ্ট্রনৈতিক তত্ত্ব ও তার ইতিহাস, (২) রাষ্ট্রনৈতিক প্রতিষ্ঠান— যেমন : সংবিধান, জাতীয়, প্রাদেশিক ও স্থানীয় শাসন, (৩) বিভিন্ন রাষ্ট্রের তুলনামূলক আলোচনা, (৪) রাজনৈতিক মতবাদ এবং (৫) আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতি।
৮. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের রাষ্ট্রকেন্দ্রিক আলোচনার দুটি দুর্বলতা উল্লেখ কর।
উত্তর। (১) ম্যাকেঞ্জির মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই সাবেকী আলোচনা অতিমাত্রায় আইনমুখী, কৃত্রিম ও খামখেয়ালীপূর্ণ। (২) ডেভিড ইস্টনের মতে যে সকল উপাদানের দ্বারা কোন ঘটনা রাজনৈতিক উৎকর্ষতা লাভ করে তা রাষ্ট্রকেন্দ্রিক ধারণার দ্বারা ব্যাখ্যা করা যাবে না।
৯. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলা যায় কারণ : (ক) অন্যান্য বিজ্ঞানের ন্যায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের আচার-আচরণ সম্পর্কে সুসংবদ্ধ জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয়। (খ) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার সাধারণ সূত্রের প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লর্ড ব্রাইস উল্লেখ করেন, 'মানুষের আচার-আচরণ জটিল হলেও তার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়”। এই সামঞ্জসাই বিজ্ঞানের ভিত্তি।
১০. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার আধুনিক ধারণার দুটি সমালোচনা উল্লেখ কর।
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার আধুনিক ধারণার দুটি দুর্বলতা হল : (ক) রাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা প্রধান বিষয়কে বাদ দিয়ে উপলক্ষকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। (খ) আধুনিক আলোচনায় সকল বিরোধকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যথার্থ নয় বলে অনেকে সমালোচনা করেন।
১১. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান না বলার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে যাঁরা বিজ্ঞান বলে মেনে নিতে ইচ্ছুক নন তাদের মতে (ক) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ব্যাপক, জটিল ও অনিশ্চিত তাই পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নবিদ্যার ন্যায় পরীক্ষণ পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয়। (খ) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যায়।
১২. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে মান্য করেন এমন কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর নাম বল।
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে মান্য করেন এমন কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হলেন হবস, পালি, ব্রাইস, রেডিন, মা মুখ।
১৩. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান পদবাচ্য হিসেবে মান্য করতে অস্বীকার করেন এমন কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর নাম কর।
উত্তর :- বার্কলে, কোঁৎ, মেইট ল্যান্ড প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে মান্য করার পক্ষপাতী নন।
১৪. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় অনুসৃত কয়েকটি পদ্ধতির উল্লেখ কর।
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দ্বারা অনুসৃত পদ্ধতিসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগগুলি হল (i) ঐতিহাসিক পদ্ধতি, (ii) পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি, (iii) পরীক্ষামূলক পদ্ধতি, (iv) দার্শনিক পদ্ধতি, (v) তূলনামূলক পদ্ধতি, (vi) আইনমূলক পদ্ধতি প্রভৃতি।
১৫. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর :- রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি বলতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক তথ্যাদি সংগ্রহ করে পরিসংখ্যান ও গবেষণামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে তার সত্যতা যাচাই করা।
২৪. অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতির যেকোন দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর:- অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল :- (ক) আধুনিক আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা অভিজ্ঞতাবাদী পদ্ধতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। (খ) এই পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে পরিমাপ ও সংখ্যায়ণের সাহায্যে তত্ত্ব ও গবেষণার মধ্যে সাম্যস্য সাধন করা হয়। (গ) এই পদ্ধতির প্রয়োগকারীরা পরীক্ষামূলক, পর্যবেক্ষণমূলক ও পরিসংখ্যানমূলক পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
২৫.কয়েকজন অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতির সমর্থকের নাম কর।
উত্তর. কয়েকজন অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতির সমর্থকের নাম হল 'রবার্ট ডাল, ডেভিড ইস্টন।
২৬. সমাজবিজ্ঞানগুলি পারস্পরিক অঙ্গাঙ্গী ভাবে অবাধ সম্পর্কিত সম্পাদিত হওয়ার কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:- সমাজবিজ্ঞানগুলির পারস্পরিক অঙ্গাঙ্গী ভাবে অবাধ সম্পর্কে সম্পর্কিত হওয়ার কারণ হল —(ক) সকল সমাজ বিজ্ঞান সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে, (খ) কোন একটি সমাজ বিজ্ঞান এককভাবে মানব জীবন ও মানব সমাজের সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরতে পারে না।
২৭. আন্তঃসমাজবিজ্ঞানকেন্দ্রিক আলোচনার প্রসারে ভূমিকা পালনকারী কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর নাম বল।
উত্তর :- আন্তঃসমাজ বিজ্ঞান কেন্দ্রিক আলোচনার প্রসারে ভূমিকা পালনকারী কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হলেন—হ্যারল্ড লাসওয়েল, চার্লস মেরিয়াম, ক্যাপলান, ট্যালকট পারসন্স, প্রমুখ।
২৮. ইতিহাসের ভিত্তিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার কয়েকজন সমর্থকের নাম লেখ।
উত্তর। জন সীলি, ফ্রীম্যান, উইলোবী প্রমুখ।
২৯. অর্থনীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার কয়েকজন সমর্থকের নাম লেখ।
উত্তর। অ্যাডাম স্মিথ, জেমস স্টুয়ার্ট মিল প্রমুখ।
৩০.কয়েকজন সমাজতত্ত্ববিদের নাম বল যাঁরা সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিকোন থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন।
উত্তর:- স্পেনসার, ডুর্কহেইম, কোঁৎ, জিনসবার্গ প্রমুখ।
৩১. মনোবিজ্ঞানমূলক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার কয়েকজন সমর্থকের নাম কর।
উত্তর :- বেজহট, গ্রাহাম ওয়ালস, ম্যাগডুগাল প্রমুখ।
৩২. Alan Ball এর মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গি কয়টি ও কি কি? উত্তর। Alan Ball এর মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গি দুইটি (ক) সনাতনী বা ঐতিহ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি (Traditional Approach) ও (খ) আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি (Modern Approach)।
৩৩. তথ্য ও সংক্রান্ত সমস্যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার কয়টি দৃষ্টিভঙ্গি ও কি কি?
উত্তর :- দুইটি দৃষ্টিভঙ্গি—(ক) আদর্শ স্থাপনকারী দৃষ্টিভঙ্গি (Normative Approach) ও (খ) অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি (Empirical Approach) |
৩৪. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় সনাতনী বা ঐতিহ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কোন কোন দৃষ্টিকোণের আলোচনা বোঝায় ?
উত্তর:- দর্শন, ইতিহাস ও আইনকেন্দ্রিক আলোচনাকে ঐতিহ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা বোঝায়।
৩৫. সনাতনী বা ঐতিহ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর:- (ক) এই দৃষ্টিভঙ্গি আদর্শমুখী এক্ষেত্রে ভালো মন্দের বিচার হয়। (খ) এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়বস্তুর নৈতিক দিকের উপর আলোকপাত করা হয়। (গ) এই দৃষ্টিভলিতে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ঘটনাবলীর ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের প্রবণতা থাকে।
৩৬. কয়েকজন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থকের নাম কর।
উত্তর :- প্লেটো, রুশো, কান্ট, হেগেল, ব্রাডলে প্রমুখ।
৩৭. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় আদর্শগত দিক স্বীকৃত হয় এবং ঔচিত্য — অনৌচিত্যের প্রশ্ন সংযুক্ত থাকে। তৎসহ এই দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনৈতিক তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয় দার্শনিক অবরোহমূলক পদ্ধতিতে।
৩৮। ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর :- ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির কয়েক বৈশিষ্ট্য হল ঃ- (১) এই দৃষ্টিভঙ্গি মূলত বর্ণনামূলক। (২) এই দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সনাতনী রাজনৈতিক তত্ত্বের অধ্যয়ন বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও আন্দোলনের উদ্ভব ও বিকাশ।
৩৯. কয়েকজন ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থকের নাম কর।
উত্তর :- আইভর জেনিংস, অ্যালান বল প্রমুখরা ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থক।
Thank you sir 😃😃
উত্তরমুছুন