বাংলার হোসেন শাহি শাসনকালের তাৎপর্য আলোচল করো। burdwan university(পূর্ণমান-10/5)
ভূমিকা:- বাংলার ইতিহাসে হোসেন শাহি বংশে ৪৫ বছরের শাসন কাল নানাদিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। এই কাল পর্বে রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ধর্ম অর্থনীতিজীবনের সবক্ষেত্রেই শাংলা উন্নতির চরম নিরে পৌঁছাছে ৷
অরাজগতার অবসন :- এই বংশের প্রথম শাসক আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ও এক নৎরথ সাহেব ছিল শান্তি ও সমৃদ্ধি আমল। এইসময় দেশের বিদ্রোহ অশান্তি ও অরাজগতা ছিল না।
স্বধীন বাংলা :- এই বংশের শাসকরা প্রবল প্রতিপক্ষ দিল্লির ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যের শাসকদের আক্রমন প্রতিহত করে বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমও রক্ষা করেন। দিল্লির সুলতান সিকান্দার নন্দী হোসেন শাহের বিরোধী যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না।
রাজ্য বিস্তার :- কেবল মাত্র নিজ স্বাধীনতা রক্ষায় নয় অন্যান্য রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধ চালিয়ে বাংলার নিজ রাজ্যের সীমা সমপ্রসারিত করে। এই সময় বাংলার সীমানা পশ্চিমে ত্রিহুত, দক্ষিণে পশ্চিমে উড়িশার কিছু অংশ ৷ উত্তর-পূর্বে কোচবিহার, দক্ষিণে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রাজ্য বিস্তৃত ছিল৷
সাহিত্য :- বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির ইতিহাসে হোসেন শাহি আমল এক চিরসরষ্মীর তার পুত্র নৎরথ সাহের পৃষ্টপোষকথায় এই ঘুগে বাঙালীর প্রতিভার অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটে। এই সময় মালাধর বসু, যশরাজ খাঁ, শিকর নন্দী, বিজয়ী গুপ্ত প্রমুখ সাহিত্যিক খ্যাতি অর্জন করেছিল।
শিল্প :- শিল্প চর্চার ক্ষেত্রেও এই যুগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুলতানদের উদ্দ্যোগে সারা বাংলা জুড়ে অসংখ্য বা মসজিদ, মাদ্রাসা, মুক্তব, প্রাসাদ দূর্গা ও ফটক প্রভুটি নির্মিত হয়েছে।
অর্থনীতি :- হোসেন শাহি রাজাদের উৎসাহে বাংলায় অর্থনীতি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়, আভন্তরীক বানিজ্যে সঙ্গে বৈদেশিক বানিজ্যে ও জোয়ার আসে সুদ্রপথে ব্রহদেশ, হিন্দ্রচিন, শ্রীলঙ্কা, ইন্দ্রনেশিয়ার সঙ্গে বাংলার বানিজ্য চলত। এই সময় ও সমুদ্র উপকূল জুরে অসংখ্য শহর গড়ে ওঠে এবং সেখানে নানাধরণের জিনিসপত্র কেনাবেচা চলতে থাকে। এক কথায় বলা যায় যে বাংলার সামগ্রিক ইতিহাসে হোসেন শাহি বংশের শাসন একনতুন অধ্যায় সূচনা করে।